Description
Oitihasik Kahini Samagra : Shekhar Basu
Publisher : The Cafe Table
ঐতিহাসিক কাহিনি সমগ্র : শেখর বসু
সারাংশ : খ্যাপা ঘোড়াকে কেউ বশ মানাতে পারেনি। এক-এক করে হার মেনেছিল সবাই। শেষে অসাধ্যসাধন করেছিল ষোলো বছরের এক তরুণ। শুধু বশ মানানোই নয়, ওই ঘোড়ায় চেপে লম্বা এক দৌড় সেরে ফিরে এসেছিল। এই ছেলেটিই দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার। ঘোড়াও বিখ্যাত, তার নাম বুসিফেলাস। পিতা ফিলিপ নিহত হওয়ার পরে আলেকজান্ডার যখন রাজা হলেন, তখন তাঁর বয়েস উনিশ-কুড়ি। গ্রিসের ঘরোয়া লড়াই জেতার পরেই তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন দিগ্বিজয়ে। প্রথম আঘাত হানেন সুবিশাল পারস্য সাম্রাজ্যে। সেই সময় শক্তিশালী পারসিকদের হারানো প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু রণকুশল, তেজোদীপ্ত আলেকজান্ডারের কাছে কিছুই বুঝি আয়ত্তের বাইরে নয়। এক-এক করে সব দেশই জয় করে বসলেন। তাঁর কাছে হার মানল মিশরও। দুর্লঙ্ঘ হিন্দুকুশ পর্বতমালাও তাঁর পথ আটকাতে পারেনি। পুবের ‘শেষ ভূখণ্ড’ ভারতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন দিগ্বিজয়ী। ইতিমধ্যে কয়েকটি বছর অতিক্রান্ত। এবার ঘরে ফিরতে চায় রণক্লান্ত সেনারা। অগত্যা দেশে ফেরার পথ ধরতে হল বীরশ্রেষ্ঠকে। কিন্তু ঘরে আর ফেরা হল না। আলেকজান্ডারের রহস্যমৃত্যু হল ব্যাবিলনে। ‘মেঘের দেশে’র শ্যামাপদ ‘খেচরি মুদ্রা’ হঠযোগ শিখতে চেয়েছিল। এটি শিখতে পারলে আকাশে ওড়া পর্যন্ত যায়। প্রকৃত একজন হঠযোগী গুরুর সন্ধানে পায়ে হেঁটে আহিরিটোলা থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল শ্যামা। পরমহংসের দেখা পেয়েছিল, মন্ত্রও নিয়েছিল; কিন্তু হঠযোগ কোথায়? শেষে সেই শিক্ষা নেওয়ার জন্য দূরদেশে গিয়ে ভয়ংকর এক বিপদের মধ্যে পড়েছিল ছেলেটি। ‘অপেক্ষা’র সীতাম্মার গল্পে সেকালের ম্যাঙ্গালোরের গাঁয়ের ছবি ফুটে উঠত, ছবি ফুটত। গান্ধীজির লবণ আন্দোলনেরও। দক্ষিণ ভারতে রবীন্দ্রনাথ নাটকের দল নিয়ে গিয়েছিলেন; সে ছবিও স্পষ্ট হয়ে উঠত। কিন্তু যার জন্যে সীতাম্মা আর গায়ত্রীর অধীর অপেক্ষা; সে কোথায়?
Reviews
There are no reviews yet.