‘আশি-বিরাশির বিনোদন’ আসলে একটি সংকলন-এতে আছে দুটো উপন্যাস, দশটি গল্প এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কথা। লেখকের এই রচনাসমূহ তাঁর আশি-বিরাশি বয়সের সৃষ্টি। অথবা বলা যেতে পারে শেষ বয়সের লেখা। এজন্য এইসব সৃষ্টি আলাদা একটি মোহ তৈরি করে। এবং এই লেখাগুলি আশ্চর্য এক জীবনচরিত। নদী এবং সমুদ্র বিষয়ক উপন্যাস দুটিতে আছে প্রেমের এক বিস্ময়কর রূপ। কিংবা নদী প্রবাহিত হয়, এবং সমুদ্রের বিস্তার সহ এই উপন্যাস দুটির সামগ্রিক রহস্য এক অনন্ত অসীমের কথা বলে। এই আনন্দদায়িনী উপলব্ধি জীবনপ্রবাহের অন্তরালে এক অসীম সৌন্দর্যও সৃষ্টি করে-লেখকের এই বিচরণের ক্ষেত্রটি অভূতপূর্বও মনে হতে পারে।
আর প্রাসঙ্গিক আছে নেতাই-এর গণহত্যা নিয়ে লেখকের প্রতিবাদ অথবা আর্তনাদ। চার গৃহবধূ হত্যা-বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ৩৫ তম কলকাতা বইমেলায় সম্মানীয় অতিথির ভাষণে এই উক্তি বামফ্রন্ট অপশাসনের প্রথম সতর্কবাণী বলা হয়ে থাকে। আর আছে সিরিয়াল ‘কেয়াপাতার নৌকা’য়, ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’ উপন্যাসের জনৈক মহিলার অন্যায় আত্মসাৎ-এর অপচেষ্টার কথা এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু মূল্যবান চিঠি।
Reviews
There are no reviews yet.